মুর্শিদাবাদে ওয়াক্ফ আইন নিয়ে বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেয়। জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাথর ছোঁড়া, রাস্তায় আগুন লাগানো, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এমনকি খুনের ঘটনাও ঘটে।
শনিবার সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে খুন হন বাবা ও ছেলে। পরিবারের দাবি করেছে, বিক্ষোভকারীরা হামলার পর লুটপাটও চালায়।
তার আগে শুক্রবার নিউ ফারাক্কা-আজিমগঞ্জ রেলপথে ছয় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বিক্ষোভকারীরা ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ গাড়ি ও সরকারি দফতর। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়।
হিংসায় ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
BSF মোতায়েন করা হয়েছে অশান্ত এলাকাগুলিতে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। এদিন বিএসএফ ও স্থানীয় থানার সঙ্গে বৈঠক করেন ডিজি রাজীব কুমার। তিনি নিজে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে রাতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান।
ইজাজ আহমেদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন ও পরে তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার সুতির সাজার মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
ধুলিয়ানে বিড়ি কারখানার দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন, অবস্থা স্থিতিশীল।
হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্র রাজ্যে ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে। মুর্শিদাবাদে মোতায়েন হবে ১৬০০ জওয়ান। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করতে অশান্তিপ্রবণ এলাকায় টহল দেবেন তাঁরা।
গোটা পরিস্থিতি কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ব্যাপক তরজা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন। তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, রাজ্যে এই আইন কার্যকর হবে না। 'অধার্মিক' আচরণ থেকে বিরত থাকার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।