আপাতত কড়া প্রহরা। আধাসেনা, বিএসএফ, পুলিশের বুটের শব্দ মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে। থমথমে পরিবেশ। এ যেন ঝড়ের পরের বিধ্বস্ত ধ্বংসাবশেষ।
আপাতত কড়া প্রহরা। আধাসেনা, বিএসএফ, পুলিশের বুটের শব্দ মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে। থমথমে পরিবেশ। এ যেন ঝড়ের পরের বিধ্বস্ত ধ্বংসাবশেষ।
সুতি, সামশেরগঞ্জের মতো হিংসাপ্রবণ এলাকাগুলি বর্তমানে শান্ত। তবে সাম্প্রতিক অশান্তির ছবি এখনও বেশ স্পষ্ট। সেটা ভাঙাচোড়া দোকানপাট-ঘরবাড়িই হোক, বা রাস্তার ধারে পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার হাজার-হাজার ছেলে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।
পুলিশ যখন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে, তখনই যেন আগুনে ঘি পড়ে। রীতিমতো পাল্টা মার, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ শুরু হয়ে যায়।
এর ঠিক ১০ কিলোমিটার দূরে, সামশেরগঞ্জেও এই সময় থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রথমে ডাক বাংলো মোড়ে হট্টগোল, পুলিশের গাড়ি আটকে তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর পুলিশের ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তার ধারে নিরাপরাধ মানুষের ঘরবাড়ি, দোকান, গাড়ি-বাইকও রেহাই পায়নি।
বাদ যায়নি রেল স্টেশনও। ধুলিয়ান স্টেশনের কাছে রেলগেট এবং রিলে রুমে পাথরবৃষ্টি, ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগানোরও চেষ্টা চলে। রেলকর্মীরা কোনওমতে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে যান। পরে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ ও বিএসএফ জওয়ানরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সবচেয়ে হিংসা কবলিত এলাকায় অনেকেই ঘর ছেড়েছেন। সূত্রের খবর, আতঙ্কে অনেকেই পাশের জেলা মালদায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
বর্তমানে হিংসা কবলিত এলাকায় ৯ কোম্পানি বিএসএফ, ৮ কোম্পানি CRPF রয়েছে। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয়েই কাজ করছেন তাঁরা। সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় রুট মার্চ করা হচ্ছে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতেই বিএসএফ-এর সঙ্গে যৌথ অভিযানে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার বিভিন্ন ক্লাব এবং স্থানীয় সংগঠনের সঙ্গে শান্তি সভা করবে পুলিশ।
ধীরে ধীরে ঘরছাড়ারা বাড়ি ফিরছেন। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম।