আসছে বাংলা নববর্ষ। 'হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল'- গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহেও বৈশাখকে সাদরে স্বাগত জানাতেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বৈশাখ মানেই নতুন পোশাক, নতুন শুরু।
বাংলা সৌর ক্যালেন্ডর অনুযায়ী বর্তমানে বঙ্গাব্দ ১৪৩১ চলছে। চৈত্র সংক্রান্তির পর শুরু হবে ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। বৈশাখ মাস দিয়ে বছর শুরু হয়। পয়লা বৈশাখের সঙ্গে হাল খাতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দোকানে দোকানে হালখাতা করা হয়। দেওয়া হয় মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়।
সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বার মাস অনেককাল আগে থেকেই পালিত হত। সৌর বছরের প্রথম দিন অবিভক্ত বাংলায় অনেক আগে থেকেই এই উৎসব পালিত হত। তবে আগে এটি হত না। আগে নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ আতর্ব উৎসব অর্থাৎ ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত।
এদিন লাল কাপড়ে মোড়া হালখাতায় স্বস্তিক এঁকে, লক্ষ্মী-গণেশের পুজো দিয়ে ব্যবসায়িক লেনদেনের সূচনা করা হয়। লক্ষ্মীলাভের আশায় করা হয় পুজো।
আগামী ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ১৪৩১ শেষ করে ১৪৩২ বঙ্গাব্দ শুরু হতে চলেছে। পয়লা বৈশাখ বাঙালি হিন্দুদের কাছে একটি বিশেষ দিন।
পয়লা বৈশাখ শুরু হয় পুজো অর্চনা এবং গুরুজনদের আশীর্বাদে শুরু হয়। এর সঙ্গে থাকে দিনভর ভুরিভোজ।
বিশ্বের দেশে নানা জাতি নানা ভাবে নববর্ষ উদযাপন করে। শুধু বাংলা ও বাংলাদেশেই নয়। প্রবাসী বাঙালিরাও দেশে-বিদেশে পয়লা বৈশাখ পালন করে।
পয়লা বৈশাখে লক্ষ্মী-গণেশের পুজোর শুভক্ষণ
১৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার অমৃত যোগের শুভ সংযোগে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো ও হালখাতা করা যেতে পারে।
সকাল ৭টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ২০ মিনিট, দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিট থেকে বেলা ২টো ৩২ মিনিট, দুপুর ৩টে ২৪ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৫টা ৪ মিনিট পুজোর শুভ সময়। আবার এদিন বারবেলা থাকবে সকাল ৬টা ৫৫ মনিট থেকে ৮টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত ও দুপুর ১টা ১২ মিনিট থেকে ২টো ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
পয়লা বৈশাখের আগে আরও একটি রীতি আছে। বৈশাখের আগে চৈত্র সংক্রান্তির সেল চলে। দেদার কেনাবেচা হয় এই সময়ে। সেই সঙ্গে বাড়িঘর সাফ সাফাইয়ের মধ্যে দিয়ে নেতিবাচকতা দূর করে দেয়।