মানোলো মার্কুয়েজ যে ভারতীয় ফুটবল দলের (Indian Football Team) দায়িত্বে আর থাকছেন না তা আগেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। বুধবার সে ব্যাপারে শিলমোহর পড়ে গেল। এবার প্রশ্ন হল, মানেলোর উত্তরসূরি কি সঞ্জয় সেন? বুধবার অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) কার্যনির্বাহী সমিতির সভায় কোচের নাম ঘোষণা হয়নি। আরও দিন কয়েক সময় লাগবে।
জাতীয় দলের ডিরেক্টর সুব্রত পাল সদস্যদের যে চিঠি দিয়েছেন, তা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর সেই চিঠি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্যরা। তাঁদের প্রশ্ন, জাতীয় দলের কোচের পদত্যাগের খবর কেন চেপে রাখা হয়েছে? যা খবর তাতে মানোলো এই বৈঠকের আগেই তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন ফেডারেশনের কাছে। তবে তাঁর সঙ্গে চুক্তিসংক্রান্ত কিছু বিষয়ে এখনও সমস্যা আছে বলেই তাঁকে ছাঁটাই বা পদত্যাগের কথা ঘোষণা করা হয়নি।
সুব্রতর তাঁর চিঠিতে নতুন কোচ নিয়োগ নিয়ে আলোচনা চেয়েছেন। মানোলো পদত্যাগ না করলে নতুন কোচ নিয়ে আলোচনা কীভাবে করা যায়, প্রশ্ন তুলেছেন বহু সদস্যই। সদস্যদের অনেকেরই প্রশ্ন, ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ চিঠি কীভাবে বাইরে চলে আসল? ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে এবং তাঁর কাছের কয়েকজন ছাড়া এইমুহূর্তে ফেডারেশনের কাজকর্মে মাথা ঘামাচ্ছেন না আর কোনও সদস্যই। বরং সকলেই তাকিয়ে নতুন সংবিধান ও স্পোর্টস বিলের দিকে।
নতুন কোচ নিয়ে আলোচনায় সঞ্জয়কেই আপাতত জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়ার ভাবনা রয়েছে ফেডারেশন কর্তাদের। যদি না বিরাট কোনও অঘটন ঘটে তাহলে প্রাক্তন আই লিগ ও সন্তোষ ট্রফি জয়ী সঞ্জয়ই হতে চলেছেন সাম্প্রতিককালের প্রথম ভারতীয় কোচ। খালিদ জামিল নিজে আগ্রহী নন সেভাবে। বিদেশি কোচ নিতে গেলে যা টাকা লাগবে, তা এইমুহূর্তে দেওয়ার ক্ষমতা নেই বর্তমান কমিটির। এ দেশে কাজ করে যাওয়া কোচদের মধ্যে ইভান ভুকোমানোভিচ ও আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের আগ্রহ ছিল ভারতের কোচ হওয়ার। এই দু'জনের মধ্যে আবার ভুকোমানোভিচের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু করেছে মুম্বই সিটি এফসি। ফলে এইমুহূর্তে সঞ্জয়ই এগিয়ে বাকিদের থেকে। একমাত্র তিনি রাজি না হলে অন্য নাম সামনে আসবে।
তবে সঞ্জয় সেন নিমরাজি হবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তার কারণ, তিনি কিছুদিন আগেই এক ইন্টারভিউতে তিনি জানিয়েছেন, 'ভারতীয় দলের এখন একজন বাঙালি কোচ দরকার।'