নির্বাচনের আগে এখনও মাস খানেক সময় রয়েছে। এরমধ্যেই চড়ছে পারদ। সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন টুটু বসু। তার কারণ, নির্বাচনে কোনও এক পক্ষের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। সাধারণভাবে, এমনটা ঘটলে বলে দেওয়াই যেত, বড় ছেলে সৃঞ্জয় বসুর পক্ষেই দাঁড়াবেন মোহনবাগানের প্রাক্তন সভাপতি। কিন্তু টুটু বসুর এই সিদ্ধান্তের আগেরদিনই তাঁর ছোট ছেলে সৌমিক বসু দাঁড়িয়ে পড়েছেন দেবাশিস দত্তের পাশে। ফলে টুটু বসু কোনদিকে যান সেটাই এখন দেখার।
সোমবার দুপুরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ান প্রবীণ ক্লাব সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ক্লাব নির্বাচন দোরগোড়ায়। কোন কমিটি আসবে তা সদস্যরাই ঠিক করবেন। সেই কাজ আমার পক্ষে করা অসম্ভব। সভাপতির চেয়ারে বসে কোনও একপক্ষের হয়ে প্রচারও অসম্ভব। পদের অপব্যবহার করে কখনও কিছু করিনি...।’ এরপরেই নানা জল্পনা শুরু ময়দানে। এমনকী, পারিবারিক বিভাজনের সম্ভাবনাও উস্কে দিয়েছে এমন সিদ্ধান্ত।
নির্বাচনে সচিব দেবাশিস দত্তের চ্যালেঞ্জার সৃঞ্জয় বসু। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় স্ট্র্যাটেজি সাজাতে ব্যস্ত দুই গোষ্ঠী। রবিবার উত্তর কলকাতায় দেবাশিস শিবিরের তেমনই এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন টুটু বসুর কনিষ্ঠ পুত্র সৌমিক ওরফে টুবলাই বসু। বর্তমান ক্লাব কমিটির প্রশংসাও করেন তিনি, যা সৃঞ্জয়ের কাছে গলার কাঁটা হতে বাধ্য। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টুটুর পদত্যাগের ঘটনা অনেকের কাছেই অর্থবহ। এই প্রসঙ্গে সৃঞ্জয়ের মন্তব্য, ‘কে কার সঙ্গে বৈঠক করবে তা একেবারেই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে মোহন বাগান সদস্যরা জানেন টুটু বসু যা করবেন তাতে মোহনবাগানের ভালোই হবে।’
মোহনবাগানের বিদায়ী সচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, 'ওঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নই। তবে ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার ক্ষমতা আমার একার নেই। কমিটির মিটিং ডেকে বাকিদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
আইএসএল কাপ জেতার পরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েন্কাকে আবেগতাড়িত বার্তা পাঠিয়েছিলেন সৃঞ্জয়ের বাবা তথা পদত্যাগী মোহনবাগান সভাপতি টুটু। বর্তমান ক্লাবসচিব দেবাশিসকে তিনি কোনও অভিনন্দনসূচক বার্তা পাঠিয়েছেন, এমন কোনও খবর এখনও পর্যন্ত শোনা বা দেখা যায়নি।
এর মধ্যেই শোনা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও নির্বাচন এড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে যুযুধান দুই পক্ষের কাছেই। দুই প্যানেলের সদস্যদেরই রেখে দেওয়া হতে পারে নতুন কমিটিতে। তবে সবমিলিয়ে ময়দান যে এখন সরগরম তা বলাই যায়।