সোমবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে পুলিশ এসি-র (Mohun Bagan vs Police AC) বিরুদ্ধে কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে (Mohun Bagan Super Giant)। সেই ম্যাচ শেষ হতার পর উত্তেজনা ছড়ায় স্টেডিয়ামে। অভিযোগ সেই সময়ই সবুজ-মেরুন সমর্থকদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। সাদা পোশাকের কিছু পুলিশও মোহনবাগান সমর্থকদের গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ।
শুধু গায়ে হাত তোলাই নয়, ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে জার্সি, পতাকা। এমনটাই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই ঘটনার সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন না মোহনবাগান ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির কোনও সদস্য। এ নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন মোহনবাগানের কিছু সমর্থক। সূত্রের খবর উল্টে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হয় মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কয়েকজন কর্তাকে।
মোহনবাগান ম্যাচটা হারার পরেই ওঠে কোচ ডেগি কার্ডোজোকে সরানোর দাবিও। গত মরসুমে কলকাতা লিগে ভাল খেলতে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এবারেও হার দিয়ে শুরু করতে হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ে ফেরার রাস্তা খুঁজছে মোহনবাগান। কালিঘাট এমএস ম্যাচ থেকেই প্রত্যাবর্তনের সুচনা করতে চায় তারা।
দলে যোগ দিতে পারেন মূল দলের সুহেল ভাট ও দীপেন্দু বিশ্বাস। গোল করার দক্ষতার অভাব প্রথম ম্যাচে টের পাওয়া গিয়েছিল। ডিফেন্সের ভুলে খেতে হয়েছিল গোলটা। তাই দীপেন্দুকে নিয়ে আসতে পারে সবুজ-মেরুন। মাত্র ২ সপ্তাহ অনুশীলন করে নেমে যেতে হয়েছে মোহনবাগানকে। আর সেটাই সমস্যায় ফেলেছে ডেগি কার্ডোজোর দলকে। ম্যাচ দেখেও সেটা বারবার প্রকট হয়েছে। মিডফিল্ডে বল ধরা, ছাড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা, দলের ফুটবলারদের সঙ্গে কোঅর্ডিনেশনএ সমস্যা বারবার দেখা গিয়েছে। ডান প্রান্ত থেকে বারবার আক্রমণ উঠে এলেও নিরব থেকেছে বাঁ দিকের উইং।
দুই প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে আসতে পারলে গোল করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ পাবেন স্ট্রাইকাররা। আর সেখান থেকে গোল করা সহজ হবে। কালিঘাটের বিরুদ্ধে দ্রুত গোল তুলে নিতে পারলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।