মাত্র ১৪ বছর বয়সে আরও একটা ইতিহাস গড়ে ফেলল বৈভব সূর্যবংশী। ঘরের মাঠে সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়ল রাজস্থানের এই ওপেনার। মাত্র ৩৫ বলে করা এই সেঞ্চুরিতে ছিল, সাতটা চার ও ১১টা ছক্কা। বৈভব যখন আউট হল, তখন রাজস্থানের রান ১৬৬। ওপেনিং জুটিতেই এই রান করে ফেলে রাজস্থান।
রেকর্ড ভাঙল বৈভব
সর্বকনিষ্ঠ পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করার বিশ্ব রেকর্ডও গড়ে এই কিশোর। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বিজয় হরি জোলের রেকর্ড ভেঙে ফেলে সে, ২০১৩ সালে ১৮ বছর বয়সে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেটাই ছিল এতদিনের রেকর্ড। এবার সেটাও ভেঙে গেল।
২১০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নামা রাজস্থানের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। একের পর এক ছক্কা নয়ত চারে নাস্তানাবুদ হতে দেখা যায় গুজরাত বোলারদের। এই মারের হাত থেকে কোনও বোলারই যে ছাড় পাননি তা বোঝা যাচ্ছে স্কোরবোর্ড দেখেই। শুরু থেকেই প্রতি ওভারে ১৫ রান করে নিতে থাকেন জয়সওয়াল ও বৈভব। কাউকেই রেয়াত করেননি তারা।
টসের পর, গুজরাত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে। শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন প্রতিটি বোলারের মুখোমুখি হন। গিল আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন এবং ২৯ বলে অর্ধশতরান করেন। অন্য প্রান্ত থেকে সুদর্শনও ছক্কা ও চার মারেন। ১০ ওভার শেষে গুজরাতের স্কোর ছিল ৯২-০। ১১তম ওভারে তিক্ষণার বলে সাই সুদর্শন আউট হলে গুজরাত শুরুতেই ধাক্কা খায়। সুদর্শন ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। এর পর বাটলার এবং গিল দায়িত্ব নেন। দুই পক্ষ থেকেই ছিল জ্বলন্ত ব্যাটিং। ১৫ ওভারে গুজরাটের স্কোর ১৫০ ছাড়িয়ে যায়। এরপর তারা থামে ২০৯ রানে।
রাজস্থান রয়্যালস (প্লেয়িং ইলেভেন): যশস্বী জয়সওয়াল, বৈভব সূর্যবংশী, নীতীশ রানা, রিয়ান পরাগ (অধিনায়ক), ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক), শিমরন হেটমায়ার, ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা, জোফরা আর্চার, মহেশ তিক্ষনা, সন্দীপ শর্মা, যুধবীর সিং চরক।
গুজরাট টাইটানস (প্লেয়িং ইলেভেন): সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ওয়াশিংটন সুন্দর, শাহরুখ খান, রাহুল তেওয়াতিয়া, করিম জানাত, রশিদ খান, সাই কিশোর, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ কৃষ্ণ।