বৈভব সূর্যবংশী। আইপিএল-এ গুজরাতের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে রাতারাতি শিরোনামে চলে এসেছেন ১৪ বছরের এই যুবক। ব্যাট হাতে তাঁর তাণ্ডব দেখে হতবাক গোটা বিশ্ব। তবে তাবড় তাবড় আন্তর্জাতিক বোলারদের শাসনের পরও সেই অর্থে নির্বিকার বৈভব। ম্যান অফ দা ম্যাচের পুরস্কার হাতে তুলে নেওয়ার পর তিনি বলেন, 'আমি বোলারদের দেখি না। বল দেখি। আসলে ওটাই আমার কাজ।'
ম্যাচের পরে মুরলি কার্তিক বৈভবকে জিজ্ঞাসা করেন, 'তুমি এত ছোটো যে আমি নিজেও বুঝতে পারছি না কী প্রশ্ন করব তোমাকে। ম্যাচে এত ভালো খেললে, কী বলবে?' উত্তরে বৈভব বলেন, 'আমার ভালো লাগছে। আইপিএল-এ এই নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেললাম। এই টুর্নামেন্টের জন্য বিগত কয়েক মাস ধরে পরিশ্রম করছিলাম। তার ফল হাতেনাতে পেলাম।'
মুরলি কার্তিক : তুমি এত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলো। কিন্তু ব্যাট হাতে রুদ্ররূপ দেখা যায়। আন্তর্জাতিক বোলারদের শাসন করছ তুমি। শার্দুল বা আবেশ খানের মতো বোলারদের বলেও রান করেছ। বোলারদের কথা কখনও ভাবো না?
বৈভব : না আমি ওসব অত দেখি না। কেবল বল দেখি। ওটাই আমার কাজ।
মুরলি : জসস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে আজ ব্যাট করছিলে। দেখে মনে হচ্ছিল, জয়সওয়াল তোমার ব্যাটের জন্য গর্বিত। ও খুব আনন্দ পাচ্ছিল।
বৈভব : হ্যাঁ, যশশ্বী একজন দারুণ ক্রিকেটার। অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওর সঙ্গে ব্যাট করে মজা পাই। ও সব সময় পজেটিভ কথা বলে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কীভাবে খেলা উচিত, সেটা নিয়েও পরামর্শ দেয়। তাই ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়।
মুরলি : এত বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলে রান করলে। তাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে। এটা নিয়ে ভাবলে তোমার কেমন লাগছে ?
বৈভব : আমার কোনও ব্যাপারে ভয় নেই। তবে পরিশ্রম করেছি। তার রেজাল্ট আজ পেলাম।
মুরলি : এখন কি মনে হচ্ছে যে সব বোলাররা তোমাকে টার্গেট করবে?
বৈভব : না। এসব আমি একেবারেই ভাবছি না। আমি শুধু খেলায় মনোযোগ দিতে চাই।
সোমবার গুজরাতকে হারালেও প্লে অফে রাজস্থানের ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩ ম্যাচই জিতেছে তারা। তবে প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনা কম হলেও সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত বৈভবকে নিয়ে। পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও এই কিশোর দুর্দান্ত ব্যাটিং করবে বলে আশা করছেন তাঁরা।