Chicken risk of cancer: সপ্তাহে ৩০০ গ্রাম চিকেন খান? ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রবল, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিশ্বজুড়ে মুরগির মাংসের জনপ্রিয়তা অগাধ। এটি সুস্বাদু, সহজে রান্না করা যায় এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের উৎস হিসেবেই বেশি পরিচিত। ভিটামিন বি১২ এবং কোলিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকায় মুরগির মাংস মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।

Advertisement
সপ্তাহে ৩০০ গ্রাম চিকেন খান? ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রবল, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
হাইলাইটস
  • বিশ্বজুড়ে মুরগির মাংসের জনপ্রিয়তা অগাধ। এটি সুস্বাদু, সহজে রান্না করা যায় এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের উৎস হিসেবেই বেশি পরিচিত।
  • ভিটামিন বি১২ এবং কোলিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকায় মুরগির মাংস মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বিশ্বজুড়ে মুরগির মাংসের জনপ্রিয়তা অগাধ। এটি সুস্বাদু, সহজে রান্না করা যায় এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের উৎস হিসেবেই বেশি পরিচিত। ভিটামিন বি১২ এবং কোলিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকায় মুরগির মাংস মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা এই প্রচলিত ধারণাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে, সপ্তাহে মাত্র ৩০০ গ্রাম মুরগির মাংস খাওয়াও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

কী বলছে গবেষণা?
‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় ৪,০০০ জন অংশগ্রহণকারী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাদের খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিমাপ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য ১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। 

গবেষণার মূল ফলাফল বলছে: যারা সপ্তাহে ৩০০ গ্রামের বেশি মুরগির মাংস খান, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ২৭% বেশি। পুরুষদের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি দ্বিগুণ। মুরগির মাংস খাওয়ার পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে মৃত্যুর ঝুঁকির হারও বাড়ে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম মুরগির মাংস সপ্তাহে এক থেকে তিনবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অথচ দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এর বেশি খাচ্ছেন, তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

মুরগির অংশের গড় ওজন কত?
সাধারণত একটি চামড়াহীন, হাড়হীন মুরগির বুকের ওজন প্রায় ১৭৪ গ্রাম হয়। একটি আদর্শ খাবারের পরিমাণ ৮৫ গ্রামের কাছাকাছি। অর্থাৎ, অল্প কয়েকটি পদ খেলে সহজেই ৩০০ গ্রামের সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

গবেষণার সীমাবদ্ধতাও রয়েছে
গবেষকরা অবশ্য সতর্ক করে বলেছেন, এই গবেষণায় কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে: প্রক্রিয়াজাত মুরগির মাংস গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য ছিল অপর্যাপ্ত। শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি, যা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা, ফলে সরাসরি কারণ-ফলাফল সম্পর্ক নয়, বরং পারস্পরিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে।

কী করণীয়?
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, মুরগির মাংস খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। সাপ্তাহিক মাত্রায় নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা, স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং সামগ্রিক খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement