মাস চারেক পরেই প্রবীণ নাগরিকের দলে নাম লেখাবেন মিলিন্দ সোমন। এদিকে চেহারা বা ফিটনেস দেখে তা বোঝার জো নেই। চুল, দাড়িতে পাক ধরলেও তিনি যেন চিরযুবক। মিলিন্দকে দেখে আজও বহু তরুণীর মন গলে। সেই প্রমাণ মেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, তাঁর ফিটনেসের চাবিকাঠি কী?
৫৯ বছর বয়সী মিলিন্দ সুপারমডেল থেকে অভিনেতা হয়েছেন। এতটা সফল হওয়া সত্ত্বেও এখনও আগের মতোই উদ্যমী এবং মাটির মানুষ। সম্প্রতি, তিনি ফিট ইন্ডিয়ান রান ইনিশিয়েটিভে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে তিন দিনে প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার দৌড়েছেন অভিনেতা। যা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে তিনি এই যাত্রাটিকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন এবং সন্তোষজনক মুহূর্ত হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
সংবাদমাধ্যমের কাছে মিলিন্দ তাঁর ফিটনেস এবং ডায়েট সম্পর্কিত কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, "অলসতা আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমি সকালে উঠতে পারি না। কিন্তু তবুও আমি এটি করি। আমি দিনে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করি।" অভিনেতা জানান, তিনি কোনও কঠোর ডায়েট অনুসরণ করেন না।
মিলিন্দ তাঁর সকাল শুরু করেন, একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট দিয়ে। সকালে চা বা কফি পান করেন না। পরিবর্তে দিন শুরু করেন, জল পান করে। এর পরে ফল, জ্যুস এবং বাদাম খান। এর আগেও তিনি বলেছিলেন যে, তিনি মূলত নিরামিষ খাবার খান এবং খুব বেশি আমিষ খান না। মিলিন্দ বলেছিলেন, "আমি সত্যিই মনে করি যে আমিষ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। আমার নিরামিষ খাবারের প্রতি ঝোঁক বেশি এবং ছোটবেলা থেকেই আমিষ খাবার খাই, কেবল স্বাদের জন্য। সকালে প্রচুর ফল খাই।"
মিলিন্দ সোমন, দুপুরে ডাল, রুটি, সবজি এবং ভাত খান। এই আহারের সঙ্গে এক চামচ দেশি ঘিও খান। ডিনারে তিনি খিচুড়ি বা এক বাটি সবজি খান। মিলিন্দের জন্য, ফিটনেস শুধু চেহারা নয়, অনুভূতিও।