জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। শুরু হয়েছে সীমান্ত এলাকায় সেনা মহড়াও। পাল্টা প্রতিরোধের রাস্তায় গিয়েছে পাকিস্তানও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা আগ্নেয়াস্ত্র চালিয়ে জবাব দিয়েছে ভারত।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ওয়াঘা সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানি কৃষকদের ক্ষেত থেকে গম তোলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ একটাই নিরাপত্তা। কারণ যেকোনও সময়ে সীমান্তে হামলা হতে পারে দু'তরফেই। তাই ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তানি কৃষকদের গম তোলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে গম কাটতে না পারলে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। অনেকেই আবার ছুটি নিয়ে এই গম তুলতে এসেছেন।
তাই অবসর সময়ে ক্রিকেট খেলেই দিন কাটছে তাঁদের। সকলেই বলছেন যুদ্ধ চাই না। দুই দেশের সরকারই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে গম তুলতে না পারলে সেই গম বাজারে পৌঁছবে না। বাজারে আরও চড়া দামে বিক্রি হবে গম। আর গম কিনতে না পারলে তার প্রভাব পড়বে সীমন্তে সেনার উপরও। কারণ তাঁরাও তো খেয়েই বাঁচবেন। তাই ফাঁকা পেটে কীভাবে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করবে পাক সেনা? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।