সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক, এমন দাবিই করলেন নির্যাতিতার বাবা। ইন্ডিয়া টুডেকে তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ সাজা যদি মৃত্যুদণ্ড হয়, তা হলে তাই দেওয়া হোক। তাঁর কথায়, 'সমাজে মানসিক বিকারগ্রস্তরা জানুক, বিচারব্যবস্থা কী করতে পারে।'
ঠিক কী বলেছেন নির্যাতিতার বাবা?
কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, 'সর্বোচ্চ সাজা চাই। আমাদের দেশে সর্বোচ্চ সাজা যদি মৃত্যুদণ্ড হয়, তা হলে তাই হোক।' তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্যাতিতা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।
অন্য দিকে, কসবাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতা পুলিশের তাঁর আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। বলেছেন, 'কলকাতা পুলিশ আমাদের সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করছে। কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে। কলকাতা পুলিশ দ্রুত কাজ করছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। তদন্ত প্রক্রিয়াও তৎপরতার সঙ্গে এগোচ্ছে।' তিনি আরও বলেছেন, 'এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্ত চাই না। কলকাতা পুলিশে আস্থা রয়েছে।'
কসবায় গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মনোজিৎ ওই কলেজের প্রাক্তনী। আলিপুর আদালতে সে প্র্যাক্টিস করে। ৩১ বছর বয়সী মনোজিৎ বর্তমানে টিএমসিপির দক্ষিণ কলকাতা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। অন্য দুই ধৃত জইব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় কলেজেরই পড়ুয়া।
মনোজিতের নানা কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। মনোজিতের বিরুদ্ধে আরও এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন কলেজের এক ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, ২ বছর আগে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছিল মনোজিৎ। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন যে, ২ বছর আগে কলেজের একটি ট্রিপে তাঁকে হেনস্থা করেছিল মনোজিৎ। সে হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রী। শুধু তাই নয়, কলেজের প্রায় ১৫ জন ছাত্রী মনোজিতের বিকৃত লালসার শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রী।