
কাশ্মীর থেকে বাড়ি ফিরেছেন বাঁকরা এলাকার বাসিন্দা নুরজ মোল্লা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তাঁদের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। কারণ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে নিরীহ পর্যটকদের উপরে ঘটনার দিন তাঁরা ছিলেন পহেলগাঁওতে।
বৈসরন ভ্যালিতে যাবার জন্য তাঁরা বেরিয়ে ছিলেন। এক কিলোমিটার যখন বাকি তখনই জানতে পারেন জিহাদি হামলা হয়েছে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পর্যটকদের মধ্যে। যে যেভাবে পেরেছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। সবাই চাইছিলেন প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে। কিন্তু গাড়ি পাওয়া যায়নি। রাস্তাঘাট শুনশান, দোকানপাট বন্ধ। অবিরাম সেনাবাহিনীর যাতায়াত। আকাশে হেলিকপ্টারের টহলদারি। নিরাপদে ফিরে এসেছেন এই পরিবারের দশজন সদস্য।
নুরজ মোল্লা বলেন, 'ভাবতে পারিনি বেঁচে ফিরব। সেই রাতটা ঘুমাতে পারিনি। ভোর হতেই শ্রীনগরে ফেরার জন্য হন্যে হয়ে গাড়ির খোঁজ করতে থাকি। কিন্তু গোটা এলাকা দেখে মনে হচ্ছিলো যেন লকডাউন হয়েছে। নিরাপদে বাড়ি ফিরলেও সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখনও ভোলা যায়নি'। তাঁরা প্রত্যেকেই চাইছেন এই ঘটনার উপযুক্ত জবাব দিক সরকার।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসারন ভ্যালিতে নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের এভাবে জানে শেষ হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না কেউই। একটাই দাবি বারবার উঠছে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর মধ্যে। সন্ত্রাস ও জিহাদিদের আশ্রয় ও প্রত্যক্ষ মদত দেওয়ার কাণ্ডারি পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্বই। আগেই এই ঘটনায় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার হামলার তীব্র নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা অধিকর্তা (DNI) তুলসী গাবার্ড।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, পহেলগাঁওয়ে 26 জন হিন্দুকে জানে শেষ করা হয়েছে। এই ভয়াবহ ইসলামিক সন্ত্রাসী হামলার পর আমরা ভারতের পাশে। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সমবেদনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বজন হারাদের পাশে আছি। এই জঘন্য হামলার পিছনে জড়িতদের ধরতে সবরকম সহযোগিতা করব'। অর্থাৎ পহেলগামের ঘটনাকে সরাসরি ইসলামী সন্ত্রাসের ঘটনা বলে উল্লেখ করলেন আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা অধিকর্তা (DNI) তুলসী গাবার্ড। একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।