ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় এই রাজ্যে প্রথম সাজা ঘোষণা। প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মালদার আদালত। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে দিতে হবে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছিল। নারী নির্যাতন থেকে বিরোধী দলের কর্মীদের মারধরের মতো ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগের আঙুল। তেমনই ভোট পরবর্তী হিংসায় মালদার শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে ওঠে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ। নির্যাতিতা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ৫ জুন ওই নাবালিকা খেলছিল। তাকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে রফিকুল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে পুলিশের ভূমিকায় খুশি হয়নি পরিবার। অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষক তৃণমূল নেতা বলেই পুলিশ ঢিলেমি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতার পরিবার বিজেপির সমর্থক। নাবালিকার পরিবার দ্বারস্থ হয় হাইকোর্টের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বুধবার সিবিআইয়ের আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর বুধবার এডিজে-২ আদালতের বিচারক রাজীব সাহা অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষক রফিকুল ইসলামফে ভেলুকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ২০২১ সালের নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে ৫৫টি হিংসার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে এই ঘটনা অন্যতম। ৫৫টি ঘটনার মধ্যে রাজ্যে এই প্রথম কোনও ঘটনার সাজা ঘোষণা হল।
বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় জানান,'নির্যাতিতার পরিবার আমাদের সমর্থক। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
দোষী রফিকুলের প্রতিবেশী কামাল হোসেনের দাবি,'রফিকুলকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। জমি সংক্রান্ত ঝামেলা'।