Raiganj Girl Suicide News: মাত্র একটি অ্যানড্রয়েড মোবাইলের বায়না। কিন্তু বাবা রাজি না হওয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণির ছাত্রী মুসকান পারভিন (১৫)। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিসরাইল গ্রামে।
পরিযায়ী শ্রমিক সহিদুর রহমান কেরলে কাজ করার পরে সদ্য বাড়ি ফিরেছিলেন। বাড়ি ফিরতেই মেয়ে মুসকান তার কাছে দামি অ্যানড্রয়েড ফোনের আবদার করে। সহিদুর মোবাইলের নেতিবাচক প্রভাবের কথা চিন্তা করে সেই দাবি মেনে নেননি। এতে মুসকান অভিমানে শুক্রবার রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরিবারের সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে প্রথমে মহারাজা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পরে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সহিদুর রহমান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "আজকাল মোবাইলের জন্য ছেলেমেয়েরা ভুল পথে যাচ্ছে। তাই মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মোবাইল কিনিনি। কিন্তু ও এটা বুঝতে পারল না!"
রায়গঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মোবাইল আসক্তি এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। এজন্য স্কুল এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।