Kaliaganj Girls Hostel CCTV Scandal: স্নানের সময় গোপনে নজরদারি! কালিয়াগঞ্জের স্কুল হস্টেলে সিসিটিভি বিতর্ক

Kaliaganj Girls Hostel CCTV Scandal: স্নানের সময় গোপন নজরদারি! কালিয়াগঞ্জের হোস্টেলে সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ আবাসিক ছাত্রীদের। তিন বছর ধরে স্নান করতে বাধ্য করা হচ্ছে খোলা কলপাড়ে, যেখানে সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল। অভিযোগের তীরে প্রধান শিক্ষিকা, ওয়ার্ডেন ও এক হিসাবরক্ষকের দিকে—শিক্ষিকারাও পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রীদের।

Advertisement
স্নানের সময় গোপনে নজরদারি! কালিয়াগঞ্জের স্কুল হস্টেলে সিসিটিভি বিতর্কস্নানের সময় গোপনে নজরদারি! কালিয়াগঞ্জের স্কুল হস্টেলে সিসিটিভি বিতর্ক

Kaliaganj Girls Hostel CCTV Scandal: হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারির অভিযোগ উঠেছে কালিয়াগঞ্জের বরাল হরলাল বালিকা বিদ্যালয়ের হস্টেলে। বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচির কাছে অভিযোগ জানায় আবাসিক ছাত্রীরা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।

অভিযোগ, তিন বছর ধরে হস্টেলের কলপাড়ে স্নান করতে বাধ্য করা হয় ছাত্রীদের। উপরে বাথরুম থাকলেও তা বন্ধ রাখা হয়েছে। কলপাড়েই বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। অভিযোগ অনুযায়ী, ক্যামেরাটি অন্যত্র সরানোর আবেদন বহুবার করা হলেও একবার সিসিটিভির মুখটি শুধু সামান্য ঘোরানো হয়েছে।

এই সিসিটিভির অ্যাক্সেস রয়েছে তিনজনের কাছে। প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচী, হোস্টেল ওয়ার্ডেন ঝুনু বণিক এবং হিসাবরক্ষক ও সিসিটিভি ইনস্টলার সুব্রত মণ্ডল ওরফে শঙ্কুর। অভিযোগের তির ওই শঙ্কু স্যারের দিকেই। 

একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী সংবাদমাধ্য়মের কাছে অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছে বলে জানান। শঙ্কু স্যারের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ। তিনি জানান, "ভয়ে অনেকদিন চুপ ছিলাম।” এক অভিভাবক মনসুর আলি বলেন, “মেয়েদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা নিজেই স্কুলে এসে পৌঁছেছি।” এক শিক্ষিকাও পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রীদের। ওই শিক্ষিকা পিয়ালী সরকার অভিযোগ করেছেন, “আমরা বহুবার প্রধান শিক্ষিকাকে অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সুব্রতবাবু ওরফে শঙ্কু স্যার। তিনি বলেন, “আমি গত ৫-৬ মাস হোস্টেলে যাইনি। ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।” প্রধান শিক্ষিকা সোমা বাগচী বিষয়টি অস্বীকার করলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

 

POST A COMMENT
Advertisement