Job Risk Age: ৪০ পেরলেই চাকরি টলমল হতে পারে, আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা, যে যে উপায়ে বাঁচা সম্ভব...

অস্বস্তিকরও বলা যায়। এই ইকো সিস্টেমে ৪২ থেকে ৪৫ বছরের বয়সী ব্যক্তিরাই সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন। শুনতে খারাপ লাগলেও, এটাই আপাতত বাস্তব। 

Advertisement
৪০ পেরলেই চাকরি টলমল হতে পারে, আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা, যে যে উপায়ে বাঁচা সম্ভব... ৪০ বছরের পরে রোজগারের উপায় -- এআই ছবি
হাইলাইটস
  • ৪৫-এর আগেই চাকরি যাওয়ার ভয়!
  • তাহলে কী করা উচিত?
  • এখন থেকেই তৈরি হলে ভবিষ্যতে চিন্তা কমবে

দশকের পর দশক ধরে ভারতীয়দের মধ্যে একটি ধারণা চলে আসছে। তা হল, বয়স ৫০ পেরলে রোজগার আরও বাড়বে। যত বয়স বাড়বে, পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি। কিন্তু বর্তমানে কর্পোরেট করিডোরের বাস্তবটা একেবারে অন্যরকম। অস্বস্তিকরও বলা যায়। এই ইকো সিস্টেমে ৪২ থেকে ৪৫ বছরের বয়সী ব্যক্তিরাই সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন। শুনতে খারাপ লাগলেও, এটাই আপাতত বাস্তব। 

৪৫-এর আগেই চাকরি যাওয়ার ভয়! এখনই তৈরি হচ্ছেন তো?
 
Aionion Group-এর ডিরেক্টর বিনোদ শ্রীনিবাসনের কথায়,  'আগে সবাই ভাবত অবসর মানে ৬০ বছর। এখন আর সেটা হচ্ছে না। অনেকেই ৪০-এর কোটায় পৌঁছে গিয়ে বুঝতে পারছেন, চাকরি আর ততটা নিরাপদ নয়।' কারণ পরিষ্কার—ডিজিটালাইজেশন, অটোমেশন, আর খরচ কমানোর চাপে প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে কোম্পানির কাঠামো। আগে যাঁরা মিড-লেভেল ম্যানেজার হিসেবে নিরাপদ মনে করতেন নিজেদের, এখন তাঁরাই সবচেয়ে ঝুঁকিতে। বিনোদ বলছেন,  'এটা কোনও হঠাৎ বিপদ নয়, বরং ধীরে ধীরে জমে ওঠা একটা প্রবণতা। যাঁরা বুঝে যাচ্ছেন, তাঁরাই আগেভাগে তৈরি হয়ে নিচ্ছেন ভবিষ্যতের জন্য।'

তাহলে কী করা উচিত?

বিনোদ শ্রীনিবাসন ৩টি সহজ ও বাস্তব পরামর্শ দিচ্ছেন—

১. শুধু চাকরির ওপর ভরসা নয়, আয় বাড়ানোর আরও রাস্তা ভাবুন

একটাই কোম্পানির বেতনের ওপর নির্ভর করবেন না, বলছেন বিনোদ। SIP (সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান), মিউচুয়াল ফান্ড, বাড়ি ভাড়া থেকে ইনকাম, বা নিজের কোনও প্যাশন নিয়ে ছোট ব্যবসা—এসবই ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের রাস্তা।

২. নতুন কিছু শিখুন, বা নিজে কিছু শুরু করার কথা ভাবুন

“নিজের জন্য একটা ‘প্ল্যান বি’ তৈরি রাখুন,” বলছেন তিনি। আজকের দিনে কেউ যদি ফ্রিল্যান্সিং, কনসালটিং বা ছোট কোনও উদ্যোগ শুরু করেন, তাহলে তাঁকে কেউ থামাতে পারবে না।
ডিজিটাল স্কিল, ডেটা অ্যানালিটিক্স, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট—এমন কিছু শেখা দরকার, যা দিয়ে চাকরির বাইরে গিয়েও আপনি দাঁড়াতে পারবেন।

৩. ভয় না পেয়ে বদলকে গ্রহণ করুন

Advertisement

চাকরি যাওয়াকে ভয় না পেয়ে এটাকে নতুন একটা সুযোগ হিসেবে দেখুন। যেমন ভাল ইনভেস্টররা বিপদ আসার আগেই প্রস্তুত থাকেন, তেমনই আমাদেরও ক্যারিয়ারের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।
৪০-এর কোটার সময়টা হল শুধু কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর সময় নয়—এই সময়টা ব্যবহার করুন নিজের ফিনান্সিয়াল স্বাধীনতার ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য।

এখন থেকেই তৈরি হলে ভবিষ্যতে চিন্তা কমবে

আমাদের সমাজে এখনও ৬০ বছর বয়সে অবসরের ধারণা অনেকটাই শক্ত। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় সেটা মানিয়ে নিতে না পারলে, ভবিষ্যতে বড় ধাক্কা খেতে হতে পারে। বিনোদের কথায়, 'এখন আর ব্যাপারটা শুধুমাত্র কতদিন চাকরি করা যাবে সেটা নয়, বরং আপনি কতটা বুদ্ধি করে নিজের ভবিষ্যত তৈরি করছেন, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'

৪২-৪৫ বছর বয়স মানেই ‘চাকরি শেষ’ নয়, কিন্তু এটা একটা সতর্কবার্তা। যারা আগে থেকে বুঝে নিচ্ছেন, তাঁরাই ভবিষ্যতে নিজের মতো করে জীবন চালাতে পারবেন—চাকরির ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করেও।

POST A COMMENT
Advertisement