শমীক তো এলেন, BJP-র আদি কর্মীদের 'গোঁসা' মিটবে? তথাগত-রাহুলরা কী বলছেন...

দলের প্রতি নিষ্ঠার পুরস্কার পেয়েছিলেন আগেই। এবার এল ‘গুরুদায়িত্ব’। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে শমীক ভট্টাচার্যের মনোনয়ন কার্যত নিশ্চিত। রাজ্যসভার সাংসদ ও দলের প্রধান মুখপাত্রকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনোনীত করেছে সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে।

Advertisement
 শমীক তো এলেন, BJP-র আদি কর্মীদের 'গোঁসা' মিটবে? তথাগত-রাহুলরা কী বলছেন...তথাগত রায়, রাহুল সিনহা ও শমীক ভট্টাচার্য।-গ্রাফিক
হাইলাইটস
  • দলের প্রতি নিষ্ঠার পুরস্কার পেয়েছিলেন আগেই।
  • এবার এল ‘গুরুদায়িত্ব’।

দলের প্রতি নিষ্ঠার পুরস্কার পেয়েছিলেন আগেই। এবার এল ‘গুরুদায়িত্ব’। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে শমীক ভট্টাচার্যের মনোনয়ন কার্যত নিশ্চিত। রাজ্যসভার সাংসদ ও দলের প্রধান মুখপাত্রকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনোনীত করেছে সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে। বুধবার দুপুরে রাজ্য দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শমীক, সঙ্গে ছিলেন সুকান্ত এবং শুভেন্দু অধিকারী। আজ, বৃহস্পতিবার, সায়েন্স সিটির এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে নতুন সভাপতির নাম।

শমীকের সভাপতি হওয়া ঘিরে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে, আর তা নিয়ে বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায়ের মন্তব্য, 'তৃণমূল চিৎকার করছে মানে ওরা ভয় পেয়েছে। যদি তৃণমূল হাততালি দিত, বুঝতাম ওদের সুবিধা হচ্ছে।' তথাগত আরও বলেন, 'শমীক কোনও ধান্ধাবাজ নন, আদর্শ নিয়ে পার্টি করেন। ফলে আরও কর্মী ওঁর দিকে ফিরে আসবে।'

এই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহারও বক্তব্য স্পষ্ট, 'পুরোনো-নতুন নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। পার্টি যৌথভাবে চলে। শমীক ভালো বক্তা, এটা একটি সুবিধা। কিন্তু সভাপতির দায়িত্ব পালনে আরও অনেক গুণ প্রয়োজন। আমরা সবাই মিলে কাজ করছি, তাই কোনও সমস্যা হবে না।'

শমীকের দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ
১৯৭৪ সালে হাওড়ার মন্দিরতলায় আরএসএস-এর শাখায় যাতায়াত শুরু করেছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। সেই সূত্রেই রাজনীতিতে প্রবেশ। ২০০৬ সালে শ্যামপুকুর কেন্দ্র থেকে প্রথম বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন। তথাগত রায়ের সভাপতিত্বকাল থেকেই শমীকের উত্থান শুরু। তিনি সাধারণ সম্পাদক হন, পরে মুখপাত্র হন দিলীপ ঘোষের সময়।

তবে নানা সময়ে তিনি গুরুত্বহীন থেকেছেন বলেই মনে করেন অনেকেই। দলের একাংশের দাবি, তিনি হয়তো অন্তর্ঘাতের শিকার হয়েছিলেন। ২০১৪-তে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জেতার পর কিছু নেতা ‘আশঙ্কিত’ হয়ে তাঁকে কোণঠাসা করেন বলে অভিযোগ।

২০১৯-এ দমদম কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর তাঁকে ঘিরে কিছু বিতর্কও তৈরি হয়েছিল, যা ‘রক্ষণশীল’ বিজেপির পক্ষে অস্বস্তিকর বলেই মনে করেন কেউ কেউ। তবে শমীক বরাবর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দলের ভিতরে থেকেই নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন।

Advertisement

শমীকের স্বভাবেই ভরসা দেখছেন ঘনিষ্ঠরা
শমীকের এক ঘনিষ্ঠের কথায়, 'তিনি জানেন দলের ভিতরে কে বা কারা ওঁর ক্ষতি করছে। তবু কোনও দিন প্রকাশ্যে কিছু বলেননি, বরং ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই ভদ্র, স্থিতধী স্বভাবই তাঁকে আলাদা করে তোলে।'

নতুন সভাপতির সামনে চ্যালেঞ্জ
আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীকের মূল চ্যালেঞ্জ হবে পুরোনো কর্মীদের সক্রিয়ভাবে দলে ফিরিয়ে আনা এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে দলকে সংগঠিত রাখা। এখন দেখার, সেই চ্যালেঞ্জে তিনি কতটা সফল হন।
 

POST A COMMENT
Advertisement