আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস নিয়ে ইতিমধ্যেই অস্বস্তি সিপিএমে। এবার অস্বস্তি আরও বাড়ল কসবার পার্টি অফিসে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে। মারপিট তো বটেই, কামড়াকামড়ি পর্যন্ত চলেছে বলে খবর। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে কসবার ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের এরিয়া কমিটির দফতরে।
ঘটনার সূত্রপাত, সিপিএমের এরিয়া কমিটির দফতরে চলছিল কমিটির বৈঠক। সেখানেই প্রথমে বিতণ্ডা শুরু হয়। সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতি, কামড়াকামড়িতে। ফলে জখম হয়েছেন অনেকে। কপালে-হাতে পড়েছে ব্যান্ডেজ। এহেন পরিস্থিতিতে আলোচনা আর সম্ভব নয়। ফলে ভেস্তে যায় বৈঠক।
রাজ্যে দলের নির্বাচনী পারফরম্যান্স এখন বলার মতো নয়। শূন্যে এসেছে ঠেকেছে। এহেন প্রেক্ষাপটে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব দলকে আরও বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। স্থানীয় এক সিপিএম নেতার বক্তব্য, দু'নম্বর টালিগঞ্জ এরিয়া কমিটিতে হামেশাই এই ঝামেলা হয়ে থাকে। তাতে সাংগঠনিক দুর্বলতা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতে সাংগঠনিক শক্তিলাভ হয় কিনা, তা বলা যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, কসবার ওই দলীয় অফিসে মাস কয়েক আগেও বৈঠক চলাকালীন অশান্তি হয়েছিল। এক নেতা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। প্রায় ২০ দিন হাসপাতালে ছিলেন তাঁকে। সুস্থ হয়ে ফেরার পর তাঁর হাতেই আবার কেউ একজন কামড় দিয়েছেন!
গোটা ঘটনা সবিস্তারে লিখিত আকারে জেলা কমিটিকে জানাতে বলেছেন কলকাতার দলের জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার। শনিবারের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কলকাতার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপু দাস।