
Indian Anti-Radiation Missiles: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর, পাকিস্তান ভারতীয় সীমান্তের কাছে তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য বেশ কয়েকটি উন্নত রাডার এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য (SAM) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে চিনা উৎপত্তি HQ-9/P দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এর HT-233 রাডার।
অন্যদিকে, ভারত শত্রু বিমান প্রতিরক্ষা (SEAD) দমন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য Su-30MKI যুদ্ধবিমান, রাশিয়ান Kh-31P অ্যান্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র এবং দেশীয় রুদ্রম-১ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের রাডার স্থাপন, ভারতের SEAD কৌশল এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলির উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
পাকিস্তান সীমান্তে যত রাডার বসানো হোক না কেন, ভারতের দুটি এন্টি-রেডিয়েশন মিসাইলই যথেষ্ট তা ধ্বংস করতে। এই মিসাইল দুটির নাম - রুদ্রম-১ ও খ-৩১পি। ভারতীয় বায়ুসেনা এই মিসাইল দুটি ব্যবহার করে। এই মিসাইলগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে শত্রুর রাডার সিস্টেম ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিধন করার জন্য। শত্রুর রাডার থেকে নির্গত তরঙ্গ শনাক্ত করে এগুলি নিজে থেকেই লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে পারে।
ভারত এই মিসাইলগুলো উৎক্ষেপণ করা হয় প্রধানত সুখোই-৩০ এমকেআই এবং মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান থেকে। রুদ্রম-১ মিসাইলটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও দ্বারা নির্মিত। এর পাল্লা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। খ-৩১পি হচ্ছে একটি রাশিয়ান প্রযুক্তি নির্ভর মিসাইল, যা ভারত কিনে ব্যবহার করে।
এই ধরনের এন্টি-রেডিয়েশন মিসাইল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শত্রুর চোখ ও কান বন্ধ করে দেয়, কারণ রাডার নষ্ট হলে তারা নিজেরাই অন্ধ হয়ে যায়। এ কারণেই রুদ্রম-১ ও খ-৩১পি ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম কার্যকর অস্ত্র।