চার বছর ধরে কাজ করত একটি বাড়িতে। সেই বাড়িরই গৃহবধূ ও তাঁর ছেলেকে খুন করল পরিচালক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দিল্লির লাজপত নগরের। বুধবার সন্ধেবেলা রুচিকা (৪২) ও তাঁর ছেলে কৃষ (১৪)-কে খুন করে মুকেশ পাশওয়ান। তারপর সে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ উত্তরপ্রদেশের মুগলসরাই থেকে তাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
মুকেশ জানিয়েছে, সে ওই বাড়িতে কাজ করত। ব্যবসায়ী ওই পরিবারের একটি কাপড়ের দোকান ছিল। সেখানেও যেতে হত। তার অভিযোগ, গৃহকর্ত্রী রুচিকা তার উপর মানসিক নির্যাতন করতেন। বেশি বেশি কাজ করাতেন। একই কাজ বারবার করতে বলতেন। এমনকী সে যখন অসুস্থ ছিল তখনও ছুটি দেওয়া হয়নি। তাকে দিয়ে সমস্ত কাজ করানো হত। সে বারবার ছুটি চেয়েও পায়নি। সেই থেকে তার সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় রুচিকার। মাঝে মাঝে তাদের ঝামেলাও হত।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাগের বশে মুকেশ প্রথমে রুচিকাকে ও তারপর কৃষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে। দুজনের দেহ ফ্ল্যাটের দুই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়। খুনের পর সে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় ওই মহিলার স্বামী কূলদীপ বাড়িতে ছিলেন না। তাই তিনি কিছুই জানতে পারেননি। তবে বাড়িতে এসে দেখেন দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ। ফোনেও পাননি স্ত্রী বা ছেলেকে। তখনই তাঁর সন্দেহ হয়। পুলিশে খবর দেন। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, দুই ঘরে পড়ে মা ও ছেলের দেহ। তদন্তকারীরা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। ঘটনায় খুনের মামলা রুজু হয় থানায়।
এদিকে পুলিশ অভিযুক্ত মুকেশের খোঁজ শুরু করে। অবশেষে উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলির মুঘলসরাই থেকে সে গ্রেফতার হয়। ট্রেনে করে পালানোর পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ অভিযুক্তকে মুঘলসরাই থানায় নিয়ে আসে। সেখানেই রয়েছে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার বেডরুম ও ছেলেটির দেহ ওয়াশরুম থেকে উদ্ধার হয়। দুজনের দেহই রক্তে ভেজা ছিল। ছুরির একাধিক আঘাত মিলেছে শরীরে। অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। কারণও জানিয়েছে। তবে ঘটনা এখন তদন্ত সাপেক্ষ।