সোজা কথা সরাসরি বলতে মোটেও পিছু পা হন না অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। টলিপাড়ায় তিনি স্পষ্টবাদী বলেই পরিচিত। অভিনয়ের পাশাপাশি অপরাজিতা প্রবলভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তাঁর বাড়িতে নিয়ম করে সব ধরনের পুজো হয়ে থাকে। লক্ষ্মীপুজো হোক বা সরস্বতী পুজো, অভিনেত্রীর বাড়িতে তা হয় জাঁকজমকভাবেই। শুধু তাই নয়, গণেশচতুর্থীতেও তাঁর হাতে তৈরি গণেশ দিয়েই পুজো হয়ে থাকে। পাশাপাশি অপরাজিতা অনেক কিছুই মেনে চলেন নিজের জীবনে। সেরকমই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনও কিছু নিয়ম মেনে চলেন অভিনেত্রী। আর এটা তাঁর পরিবারের সুখ-শান্তি বজায় রাখার আসল টোটকা।
অপরাজিতা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পুজো করলে, জীবনে সুখ-শান্তি অক্ষয় থাকে। পরিবারে সমৃদ্ধি আসে। এইদিন অপরাজিতা তাঁর বাড়িতে মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি কুবের পুজো করে থাকেন। সারাবছর কুবের পুজো হয় না। কিন্তু অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মা লক্ষ্মী ও কুবের দেব পূজিত হন একইসঙ্গে। এরই সঙ্গে অপরাজিতা মেনে চলেন এক বিশেষ টোটকা।
সংবাদমাধ্যমকে অপরাজিতা জানিয়েছেন যে তিনি অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কালো রঙের কোনও জিনিস কেনেন না। শুধু তাই নয়, কালো পোশাক, কালো বাসন এইসব ঘরে আনতে নেই। এমনকী কালো রঙের প্লাস্টিকও তিনি ঘরে আনেন না এইদিন। অভিনেত্রী ছোট থেকেই এই নিয়ম মেনে এসেছেন। জ্যোতিষশাস্ত্রেও বিশ্বাস করেন অপরাজিতা। পরিবারের মঙ্গলের জন্য একটি টোটকাও মেনে চলেন অভিনেত্রী। অপরাজিতা জানান যে বাড়ির নেতিবাচকতা দূর করতে অভিনেত্রী রোজ বাড়িতে একটু কর্পূর জ্বালালে, পোকামাকড় দূর হয়। আর কর্পূরের সঙ্গে একটু লবঙ্গ জ্বালালে বাড়ি থেকে নেতিবাচকতা দূর হয়। অপরাজিতা জানিয়েছেন, এটা রোজ না করতে পারলেও মঙ্গল ও শনি করা যেতে পারে।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অপরাজিতা অবশ্য আমিষ খাবার ছোঁন না। এইদিন তিনি একেবারেই নিরামিষ খাবার খান। অপরাজিতার কথায় এইদিন নিরামিষ খাবার খেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, ছোটপর্দায় শেষবারের মতো অপরাজিতাকে দেখা গিয়েছিল জল থই থই ভালোবাসা সিরিয়ালে। এই সিরিয়াল শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর অভিনেত্রী সিনেমা ও সিরিজেও মনোনিবেশ করেছেন। এর সঙ্গে অভিনেত্রীর রয়েছে নাচের ক্লাস। মাঝে মধ্যেই নাচের ভিডিও শেয়ার করেন অপরাজিতা।