Awami League London: দেশে বিপদে কর্মীরা, ওদিকে লন্ডনে রাজকীয় বিয়েতে আওয়ামী লিগের ৪ প্রাক্তন মন্ত্রী

বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের(Awami League) কর্মীরা চাপে। এদিকে দলের ব্রিটেন শাখার সাধারণ সম্পাদকের পারিবারিক অনুষ্ঠানে এলাহি আয়োজন। হাজির আওয়ামি লিগের একদা দাপুটে নেতারা। এঁরা প্রত্যেকেই হাসিনা সরকারের সময় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদে ছিলেন।

Advertisement
দেশে বিপদে কর্মীরা, ওদিকে লন্ডনে রাজকীয় বিয়েতে আওয়ামী লিগের ৪ প্রাক্তন মন্ত্রীছবি সৌজন্য: প্রথম আলো

বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের(Awami League) কর্মীরা চাপে। এদিকে দলের ব্রিটেন শাখার সাধারণ সম্পাদকের পারিবারিক অনুষ্ঠানে এলাহি আয়োজন। হাজির আওয়ামি লিগের একদা দাপুটে নেতারা। এঁরা প্রত্যেকেই হাসিনা সরকারের সময় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদে ছিলেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দলের এহেন দুর্দশার সময় লন্ডনে তাঁদের বিয়েবাড়ি নিমন্ত্রণ রক্ষা মোটেও ভাল চোখে নেননি আওয়ামী লিগের কর্মীরা।

প্রথম আলোর রিপোর্ট, রবিবার লন্ডনে 'যুক্তরাজ্য আওয়ামী লিগে'র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের ছেলে ফাইয়াজ রহমানের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। অভিজাত ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ভাড়া করা হয়। নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন আওয়ামী লিগের  চার প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান, প্রাক্তন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লিগের সভাপতি ও প্রাক্তন প্রবাসীকল্যাণ ও আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী গিয়েছিলেন।

সঙ্গে ছিলেন সিলেট–৩ আসনের প্রাক্তন সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব।

২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট। গণ-আন্দোলনের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লিগ সরকার। তার পর থেকে এই প্রথম একসঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানে দেখা গেল ওই চার প্রাক্তন মন্ত্রীকে। এর আগে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে আবদুর রহমান ও শফিকুর রহমান চৌধুরী ছিলেন। চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের আওয়ামী কর্মী সমাবেশে অংশ নেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তারপর ৩০ মার্চ ঈদের জামাতে দেখা যায় হাছান মাহমুদকে। সেসময় রটেছিল যে তিনি বেলজিয়ামে রয়েছেন। পরে জানা যায়, তাঁর ছেলে লন্ডনে পড়াশোনা করেন। তাঁর সঙ্গেই ঈদ পালন করতে গিয়েছেন।

জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মন্ত্রীদের দেখে বেশ ক্ষোভ দানা বাঁধছে আওয়ামী লিগের অন্দরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, 'দেশে লাখ লাখ নেতা–কর্মী দুঃসময়ে আছেন, আর তাঁদের ফেলে রেখে পালিয়ে আসা এই নেতারা কীভাবে এসব অনুষ্ঠানে নির্লজ্জের মতো অংশ নিতে পারেন, তা ভাবলেও লজ্জা লাগে।'

Advertisement

এই ঘটনার পর প্রবাসে আওয়ামী লিগের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে আসার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। নেতা-কর্মীদের মতে, দলের ভবিষ্যতের জন্য এমন দ্বৈত আচরণ ক্ষতিকর হতে পারে। দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও, নেতাদের এই ধরনের কার্যকলাপ সেই প্রক্রিয়াকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

POST A COMMENT
Advertisement